এসইজেডএল এর পক্ষে পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন জানান যে, যমুনা নদীর পাড়ে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে সায়দাবাদ এলাকায় অবস্থিত এসইজেডএল মোট ১০৩৫.৯৩ একর জমিতে টেক্সটাইল ও বুননশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ওষুধশিল্প, ইস্পাত শিল্প, জাহাজ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে যেখানে ৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বাপবিবো’র সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও জানান যে, সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে ২০২৫ সালে ২৫ মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ১০০ মেগাওয়াট এবং ২০৪৫ সালে ২০০ মেগাওয়াট লোডের প্রয়োজন হবে।
বাপবিবো’র পক্ষে চেয়ারম্যান জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অগ্রাধিকারভুক্ত সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ পাওয়ায় বাপবিবো আনন্দিত এবং গর্বিত। সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহপূর্বক সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাপবিবো উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। তিনি বাপবিবো ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে বিদ্যুৎ সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাপবিবো’র সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন জানান যে, বাপবিবো’র পক্ষে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে বিভিন্ন ভোল্টেজ লেভেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে নির্মাণকাজের জন্য পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ ও শাহজাদপুর গ্রিড হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও, নির্মাণাধীন অপর আরেকটি গ্রিড উপকেন্দ্র হতেও বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বাপবিবো’র বিদ্যমান অবকাঠামোর মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে ১০০ মেগাওয়াট লোড সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে ০৪টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র এবং ০১টি ২৩০/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণের জায়গার সংস্থান রয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS